করোনাভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের শেষ নেই। যত দিন যাচ্ছে এর বিস্তার বাড়ছে, যা গোটা পৃথিবীকে এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। একের পর এক শহর, এলাকা লকডাউন হচ্ছে। কিন্তু এতোকিছুর পরও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনাভাইরাসকে। অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে পুরো পৃথিবীজুড়ে। 

এই লকডাউনের মাঝেও জরুরী কিছু সার্ভিস চলছে যেমন, ব্যাংক, হাসপাতাল, পাওয়ার স্টেশন, জরুরী পণ্য পরিবহন ইত্যাদি। তাই আপনি বাসায় থাকলেও আপনার পরিবারের কেউ হয়তো অফিসে যাচ্ছে। আবার অনেকেই বাসায় থেকে কাজ করছেন কিংবা তার চাকরি হারিয়েছেন। তাই সবকিছু মিলিয়ে আমাদের সকলের মনের উপর তৈরি হচ্ছে বাড়তি চাপ। আর এই বাড়তি চাপের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, চলমান এই পরিস্থিতিতে কিভাবে আপনি মানসিক চাপ সামলাবেন অথবা মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিবেন? 

সঠিক তথ্য জানুনঃ যেকোন তথ্য অনলাইন কোন পোর্টালে পড়ে দ্বিধা-দ্বন্দে না ভুগে, বিশ্বস্ত কোন সোর্স থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন। 

স্বাস্থ্যবিধিতে নিন ডাক্তারের পরামর্শঃ লকডাউনে থাকাকালীন সময়ে যেকোন ধরণের শারীরিক সমস্যায় কিংবা করোনা সম্পর্কিত বিষয়ে কোন ধরণের গুজবে কান না দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

আস্থাভাজন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলুনঃ এই দুঃসময়ে আপনার আস্থাভাজন ব্যক্তিরাই মানসিকভাবে শক্ত থাকতে সহায়তা করবে। তাই নিয়মিত তাদের সাথে কথা বলুন। 

একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুনঃ একটি দৈনন্দিন রুটিন বানান যা নিয়মিত মেনে চলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। রুটিনে যা যা রাখতে পারেন- 

এমন একটি দৈনিক রুটিন বানিয়ে ফেললে দেখবেন কাজের মাঝেই দিন পার হয়ে যাচ্ছে।

কাছের মানুষদের খোঁজ রাখুনঃ দেখা করা সম্ভব না বলে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে নিয়মিত সবার সাথে যোগাযোগ রাখুন।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনাঃ ফেসবুক কিংবা অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে বেশিরভাগ সময় শুধুমাত্র করোনাভাইরাস নিয়ে ছবি, ভিডিও কিংবা লিখা প্রকাশ হচ্ছে। এগুলো নিয়ে খুব বেশি সময় ব্যস্ত থাকা যাবে না। এটা মনের উপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে। তাই পরিবারের সাথে সময় কাটানো উত্তম। 

মানসিকভাবে শক্ত থাকুনঃ নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। ফলে আপনার পরিবারের লোকজন আপনাকে দেখে মানসিক শক্তি পাবে। 

ইনডোর গেমঃ পরিবারের সদস্যদের সাথে ইনডোর গেম খেলুন, যেমন- লুডু, দাবা, ক্যারম ইত্যাদি।  

সাহায্য-সহযোগিতা করাঃ আপনার আর্থিক সামর্থ্য থাকলে পাড়া-প্রতিবেশীদের সাহায্য করুণ। এতে করে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। 

ব্যাচেলর হলে যা করবেনঃ আপনি ব্যাচেলর হলে করোনাভাইরাসের এই লকডাউনকে কাজে লাগান। অনলাইনে পড়াশোনা করুন, বই পড়ুন, মুভি দেখুন, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন ও পরিবারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। ব্যস্ততার কারণে পছন্দের কোন বই পড়া কিংবা সিরিজ দেখা বাকি থাকলে, তা দেখে ফেলুন। 

সর্বোপরি বিভিন্ন ধরণের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। মনে রাখবেন, আপনার মানসিক স্বাস্থ্য আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আজ থেকেই যত্ন নিন। জনসচেতনতায় জিম ডিজিটাল ট্রাক।  

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।