পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন হচ্ছে ট্রাক। আর আমাদের দেশে গতানুগতিক পদ্ধতিতে ট্রাক ভাড়া করা খুব সময়সাপেক্ষ ও জটিল একটি প্রক্রিয়া। এখানে নেই কোন নির্দিষ্ট মার্কেটপ্লেস। ফলে সাপ্লাই ও ডিমান্ডের মধ্যে থেকে যায় বেশ তারতম্য। 

ট্রাক স্ট্যান্ডে গিয়ে কিংবা তৃতীয় কোন মাধ্যমে ট্রাক করতে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কর্পোরেট বৃহৎ শিল্প প্রতিস্থানও নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই বিষয়ে চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।  

নেই কোন মার্কেটপ্লেস 

গতানুগতিক পদ্ধতিতে ট্রাক ভাড়া করতে গেলে তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। কি ধরণের ট্রাক এই মুহূর্তে ভাড়া পাওয়া যাবে কিংবা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে আজকের রেট কত, এই তথ্য আপনি কোন মার্কেটপ্লেস থেকে পাবেন না। ফলে পণ্য পরিবহন নিয়ে কোন ধরণের পূর্ব পরিকল্পনা করা খুব কঠিন হয়ে যায়। 

সাপ্লাই ও ডিমান্ডে অসামঞ্জস্যতা 

কোন ধরণের মার্কেটপ্লেস না থাকায় সাপ্লাই ও ডিমান্ডের মাঝে এক ধরণের ঘাটতি থাকে। ফলে একজন কাস্টমার তার পণ্য পরিবহনের চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। আর পারলেও দেখা যায় সবকিছু সঠিক সময়ে করতে হিমশিম খাচ্ছেন। 

মার্কেট রেট

ট্রাক ভাড়ার ক্ষেত্রে মার্কেট রেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতানুগতিক পদ্ধতিতে ট্রাক ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে থেকে মার্কেট রেট জানার কোন উপায় থাকে না। এছাড়াও, নির্দিষ্ট ট্রাক স্ট্যান্ডে সিন্ডিকেটের বেঁধে দেওয়া দরেই ট্রাক ভাড়া করতে হয়। ফলে পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। 

পণ্যের নিরাপত্তা

পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রয়োজন যথাযথ সিস্টেম, যা গতানুগতিক ট্রাক ভাড়ার পদ্ধতিতে অনুপস্থিত। এখানে আছে ট্রাক স্ট্যান্ডভিত্তিক সমিতি। ফলে কাস্টমারকে পণ্য পরিবহন করতে হয় এক ধরণের ঝুঁকির মধ্য দিয়ে। 

নেই কাস্টমার সার্ভিস 

পণ্য লোড থেকে শুরু করে লাস্ট মাইল ডেলিভারি পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার মাঝে প্রয়োজন যথাযথ গ্রাহক সেবা, যা গতানুগতিক সিস্টেমে অনুপস্থিত। ফলে গ্রাহক জরুরী প্রয়োজনে যথার্থ সার্ভিস পায় না এবং পণ্য ডেলিভারি পরিবর্তী পরিকল্পনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে না। 

স্বচ্ছতার অভাব 

ট্র্যাডিশনাল সিস্টেমে পুরো প্রক্রিয়ায় মাঝে কোন স্বচ্ছতা থাকে না। ফলে পণ্য লোড থেকে শুরু করে লাস্ট মাইল ডেলিভারি পর্যন্ত কাস্টমারকে নানা ধরণের ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। 

গতানুগতিক পদ্ধতিতে ট্রাক ভাড়ার ক্ষেত্রে একজন কাস্টমারকে প্রতিনিয়ত এই চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হতে হয়। আর এই ধরণের অদক্ষ সার্ভিস এড়াতে চাইলে কাস্টমারকে আসতে হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। বর্তমানে বাংলাদেশে ট্রাক ভাড়ার বেশকিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে যার মধ্যে জিম ডিজিটাল ট্রাক অন্যতম। কর্পোরেট প্রয়োজনে পরিপূর্ণ লজিস্টিকস সেবা দিচ্ছে জিম ডিজিটাল ট্রাক।

আপনার পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা আপডেট করতে ট্রাক ভাড়া করুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। সময় বাঁচবে সাথে খরচও কমবে।     

2 Responses

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।