দেশের রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব পেট্রোল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে তিন বিভাগেরই পাম্প থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, বিতরণ ও পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এমন খবরে আহ্বানে আজ সকালে পেট্রোলপাম্পগুলোতে ভিড় বেড়ে যেতে দেখা গিয়েছে।
এমএ মোমিন দুলাল বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়ায় এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংক-লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, পৌরসভার চাঁদা আদায় বন্ধ ও পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিলসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে মন্ত্রণালয়কে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয়া হয়েছিলো।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বগুড়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের এ ঘোষণা দেয়া হয়। তারা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আলটিমেটাম দেন। বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এবং পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক-লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক মিজানুর রহমান রতন এ আলটিমেটাম দেন।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল করিম কাবুল বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে গত আট মাসে কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়াতে আমাদের ধর্মঘটে যেতে হয়েছে। আশা করি, উনারা আমাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে এগুলো বাস্তাবায়নের জন্য যা যা করা দরকার তা করবেন।
রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক ওয়াইজুল হক বলেন, ১৫ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অনড় থাকব। দ্রুত এই সমস্যা সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সাতক্ষীরা, দৈনিক নয়া দিগন্ত ও সময়নিউজ।