গত দুই পর্বে আমরা একজন লজিস্টিক/ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজার কি কি ধরণের সমস্যায় পড়েন তার বিস্তারিত দেখিয়েছি। কিভাবে সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণ পাওয়া সম্ভব এবং বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান কি তা আমরা আজকে জানাবো।

পণ্য পরিবহন নিয়ে নানা ধরণের সমস্যা আমাদের দেশসহ পুরো পৃথিবীতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। একজন লজিস্টিক ম্যানেজার তার দৈনন্দিন কাজগুলো সেই সমস্যার মধ্য দিয়েই পার করেন। 

আমরা প্রথম পর্বে দুটো ঘটনা থেকে দেখিয়েছিলাম চাহিদা ও যোগান থাকা সত্ত্বেও কেন ট্রাকের চাকা ঘুরছে না এবং লজিস্টিক ম্যানেজার একটি সমস্যার জট খুলতে যেয়ে কিভাবে আরেকটি সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন। দ্বিতীয় পর্বে আমরা সমস্যার আরও গভীরে প্রবেশ করি। সমস্যাগুলো পর্যালোচনা করার পর যা প্রয়োজন, তা হল একটি যুগোপযোগী সমাধান।

জিম ডিজিটাল ট্রাক, একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে ট্রাক মালিক, ড্রাইভার ও কাস্টমার একসাথে কাজ করেন একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। ট্রিপ তৈরি থেকে শুরু করে মালামাল গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো ব্যাপারটি মোবাইলেই করা সম্ভব। কর্পোরেট প্রয়োজনে থাকছে আলাদা ড্যাশবোর্ড। ফলে একজন লজিস্টিক ম্যানেজার খুব সহজেই সবকিছু লাইভ মনিটর করতে পারছেন। তাকে আলাদা করে বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিতে হচ্ছে না। খরচ নিয়েও চিন্তা করতে হচ্ছে না, কারণ জিমে আছে অনলাইন বিডিং সিস্টেম। ফলে বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ট্রাক পাওয়া সম্ভব। 

ধরা যাক, একজন লজিস্টিক ম্যানেজারের আজকে ৩০টি ট্রাক দরকার। ২০টি যাবে চট্টগ্রামে এবং বাকি ১০টি যাবে খুলনায়। তিনি জিমে দুটো ট্রিপ তৈরি করলেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। ট্রাক পাওয়া থেকে শুরু করে, পণ্য লোড হয়ে আনলোড হওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে জিম ডিজিটাল ট্রাক। জিমে আছে ডিজিটাল ইনভয়েস সিস্টেম যা একজন লজিস্টিক ম্যানেজারকে দিবে যথাযথ চালানপত্রের সুবিধা। জিমের ট্রাক, ড্রাইভার ও কাস্টমার সবাই জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে যাচাইকৃত। এছাড়াও জিমে আছে ২৪/৭ কল সেন্টার সুবিধা। ফলে একজন ড্রাইভার অথবা কাস্টমার যেকোন সময়, যেকোন প্রয়োজনে কল করে সাহায্য নিতে পারবেন।  

জিমে বাংলাদেশে প্রচলিত সকল ধরণের ট্রাক পাওয়া যায়। খোলা ট্রাক থেকে শুরু করে ডাম্প ট্রাকও পাওয়া যায় জিমের প্ল্যাটফর্মে। জিম ২০১৯ সালের শেষ কোয়ার্টারে কর্পোরেট প্রয়োজনে বেশকিছু স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য লবণ, সিমেন্ট, অটোমোবাইল, ডাল, কেমিক্যালের মত অনেক পণ্যই পরিবহন করেছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল লবন, বালু ও পাথর পরিবহন করেছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের জন্য। জিম বিরল লো-ফ্ল্যাটবেড ট্রেইলারে করে ফারটিলাইজার মেশিনারিজ পৌঁছে দিয়েছে বাংলদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

বাংলাদেশে জিম যাত্রা শুরু করেছে ২০১৮ সালে। এরপর থেকে জিম কাজ করে যাচ্ছে পুরো দেশজুড়ে, বিশেষ করে কর্পোরেট প্রয়োজনে জিম নিয়ে এসেছে ওয়ান-স্টপ-সল্যুশন। ২০১৯ সালের শেষ কোয়ার্টারে জিম কর্পোরেট প্রয়োজনে বেশকিছু বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছে যা ছোট্ট এই ভিডিওতে দেওয়া আছে।

জিম অ্যাপ একজন লজিস্টিক ম্যানেজারের দৈনন্দিন কাজকে করবে সহজ এবং তাকে দিবে পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক। ডিজিটালাইজেশনের এই নতুন যুগে আপনাকে স্বাগতম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।